স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুন মামলায় আগাম জামিনের পর ফের প্রকাশ্যে ‘দাবাং’ বিডিও প্রশান্ত বর্মন


উত্তর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক :অপহরণ ও খুনের অভিযোগে এফআইআর হওয়ার পর কার্যত আড়ালে চলে গিয়েছিলেন রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন। সংবাদমাধ্যমের নজর এড়াতে রাজগঞ্জের সরকারি বাসভবন ছেড়ে তিনি সরে গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির মাটিগড়া শিবমন্দির এলাকার বাড়িতে। তবে স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিলাকে অপহরণ ও খুনের মামলায় আগাম জামিন মিলতেই শনিবার ফের প্রকাশ্যে হাজির ‘দাবাং বিডিও’।



গত ২৬ নভেম্বর বারাসত জেলা আদালত তাঁকে শর্তসাপেক্ষে আগাম জামিন মঞ্জুর করেছিল। সেই নির্দেশ মেনে এদিন বিধাননগর মহকুমা আদালতে হাজির হয়ে নিয়মিত জামিন নেন প্রশান্তবাবু। তবে আদালত থেকে বেরোনোর সময় সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য— “বিচারাধীন বিষয়ে কিছু বলব না। আপনারা বিচারকের ভূমিকা পালন করবেন না, টিআরপি বাড়াবেন না।”
রাজগঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিলাকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে বিডিও প্রশান্ত বর্মনের। যদিও তাঁকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি, তবে এই মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত ২৯ অক্টোবর উদ্ধার হয় স্বপন কামিলার দেহ। ঠিক এক মাস পর, ২৯ নভেম্বর, সল্টলেকে আদালতে হাজির হন বিডিও।
আগাম জামিনের শুনানিতে তাঁর পক্ষে দাবি করা হয়েছিল— ঘটনার দিন তিনি জলপাইগুড়িতে ছিলেন। কিন্তু এদিন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়— “২৮ অক্টোবর আপনার অবস্থান কোথায় ছিল?” তদন্তে পুলিশ নাকি তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য পেয়েছে বলেও সূত্রের দাবি। সাংবাদিকরা আরও জানতে চান— “নিউটনের ফ্ল্যাট কার?” কিন্তু বিডিও কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দেননি।
বিডিওর আইনজীবী সৌমিত্র সাহা রায় ও রাহুল রায় বর্মন জানান— “জেলা জজমশাই আগাম জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। আদালতের নির্দেশ মেনেই আজ প্রশান্তবাবু নিয়মিত জামিন নিয়েছেন।”
অন্যদিকে এই মামলায় কোচবিহার থেকে ধৃত গোবিন্দ সরকারকে এদিন আদালতে পেশ করে পুলিশ। তদন্তে আরও একজনকে গ্রেফতার করা বাকি— এই যুক্তিতে গোবিন্দের সাত দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর হয়েছে। পুলিশ হেফাজত শেষে বিবেকানন্দ সরকারকে আদালতে পেশ করলে তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন