বেলাকোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন তারই দলের পঞ্চায়েত সদস্য
বেলাকোবা 10 মে: বেলাকোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসকদলের প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন সেই দলেরই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য।
রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর থেকে গ্রাম বাংলার সার্বিক উন্নয়নের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা কাজ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের মাঝাবারির বুথের গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্য সজল মিশ্র ,তারই দলের প্রধান কমলিনী সরকারের বিরুদ্ধে।
তার অভিযোগ পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পর থেকেই তাকে অন্ধকারে রেখে প্রধান 2018-19 আর্থিক বছরের একশন প্লান অনুযায়ী নিজের পছন্দমত সুপারভাইজার কে নিযুক্ত করেন, যার মধ্যে একজন আকবর আলী ,অপরজন নুরুল ইসলাম। এক্ষেত্রে এই দুজনের বিরুদ্ধে স্বজন পোষণের অভিযোগ উঠেছে।এই দুই সুপারভাইজার মধ্যে আকবর আলিরবাবা, মা দাদাকে অবৈধভাবে অতিরিক্ত সুপারভাইজার নিযুক্ত করে ।অন্যদিকে নুরুল ইসলাম তার ছেলে শাহেদ মামুন এবং একই পরিবারের হবিবর রহমান ও তার স্ত্রী এবং দুই ছেলেকে সুপারভাইজার নিযুক্ত করে। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে 17-6-2019 তারিখ সজল মিশ্র প্রধান কে চিঠি দিয়ে তার নিযুক্ত দুর্নীতি পরায়ন 2 সুপার সুপারভাইজার কে বহিস্কার করার জন্য লিখিত আবেদন করে। তার জায়গায় বীরবল রায় ও মোহাম্মদ লতিফ কে সুপারভাইজার হিসাবে নিযুক্ত করার জন্য আবেদন করেন ,কিন্তু সেই আবেদনে কোনো কর্ণপাত করেনি প্রধান বলে তার অভিযোগ।
কেন্দ্রীয় সরকারে আয়কর বিভাগের কর্মচারী অখিল দাসের স্ত্রী মায়া দাস ও তার ছেলে অমিত দাস এর নামে রয়েছে জব কার্ড তার নাম্বার 13/ 237 এছাড়া অন্য জব কার্ডের নাম্বার 13 /194, 13/201,13 /202 এরা কেউ কাজ না করেই টাকা তুলেছেন। এলাকার আরো পাঁচটি পরিবারের মধ্যে শতাধিক নামে জব কার্ড রয়েছে যারা কাজ না করে টাকা তুলছে।
অপরদিকে 100 দিনের কাজ করে পুরো টাকা পাইনি রেহেনা খাতুন জব কার্ড নাম্বার 13/ 294। তার পাওয়ার কথা 5348 টাকা সেখানে পেয়েছেন 2614 টাকা। রশিদা খাতুন জব কার্ড নাম্বার 13/ 154 তিনি 54 দিন কাজ করে পাওয়ার কথা 10314 টাকা পেয়েছেন মাত্র 4000 টাকা।
প্রধানের স্বামী বিবাহিত মেয়ে ও তার নাতনি নামে মাস্টার রোলে সুপারভাইজার হিসাবে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
এপ্রিল 2020 তে 79 কুইন্টাল মে মাসে ,একবার 49 কুইন্টাল এবং 150 কুইন্টাল জিয়ার আসে। অথচ তার এলাকায় কোন জিয়ার বন্টন হয়নি।
তিনি আরো অভিযোগ করেন ,বেলাকোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় নির্মিত অধিকাংশ কংক্রিটের রাস্তা নিম্নমানের হয়েছে।
সজল বাবুর পঞ্চায়েত এলাকায় চন্দন সরকার মহাম্মদ ইয়াসিন সহ 6 জন বেনেফিশিয়ারি নামে মার্ক টু হ্যান্ড টিউব অয়েল অনুমোদিত হলেও বাস্তবে সেইসব টিউবল না বসিয়ে কনটাকটার বিলের টাকা নিয়ে নিয়েছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে 6 জন বেনিফিশিয়ারি 11-9-2019 তারিখ বিডিও সদরকে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
সজল মিশ্রত অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কমলিনী সরকার উত্তরবাংলা নিউজকে জানায় , তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। অভিযোগকারীর তার নিজস্ব এলাকায় জনসংযোগ নেই এর ফলে উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হওয়ার কারণে তার তত্ত্বাবধানে পঞ্চায়েতের আইন মেনেই সব কজ করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি সদর মহকুমা শাসক রঞ্জন দাস বলেন অভিযোগকারী পঞ্চায়েত সদস্য লিখিতভাবে অভিযোগ জানালে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।