জম্মুতে জুনিয়র ন্যাশনাল টেনি কোয়েটে রাজগঞ্জের দাপট, রাজ্য দলে জায়গা ৯ খেলোয়াড়ের
রাজগঞ্জ: ৪২তম জুনিয়র ন্যাশনাল পুরুষ ও মহিলা বিভাগে টেনি কোয়েট প্রতিযোগিতায় বাংলার রাজ্যদলে জায়গা পেল মোট ১২ জন। তাদের মধ্যে ৯ জনই জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের ছাত্র–ছাত্রী। রবিবার বেলাকোবা স্টেশন থেকে জম্মুর উদ্দেশে রওনা দেয় রাজ্য দলের প্রথম দফা প্রতিনিধি দল। কোচ হিসেবে জলপাইগুড়ি সুযোগ পেয়েছেন শুভ দাস।
আগামী ২৬ থেকে ৩০ নভেম্বর জম্মুর গ্রীনফিল্ড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে এই প্রতিযোগিতা। রাজ্য দলের বাকি সদস্যরা ২৬ নভেম্বর কলকাতা থেকে রওনা দেবে বলে জানিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল টেনি কোয়েট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ কর্মকার। তিনি বলেন, জলপাইগুড়ির উন্নতি সত্যিই বিস্ময়কর। খুব অল্প সময়ে যেভাবে এই ছেলেমেয়েরা নিজেকে প্রমাণ করেছে, আমরা জাতীয় মঞ্চে ভালো ফলের আশা করছি।
জলপাইগুড়ি থেকে নির্বাচিত খেলোয়াড়রাহলো
প্রিয়া রায় (রাজগঞ্জ এমএন হাই স্কুল), সূতিকা রায় (ফাটাপুকুর সারদামণি বিদ্যালয়), দীপান্বিতা শীল (বেলাকোবা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়), অনু মাঝি ও সুপ্রিয়া কুন্ডু (কেবল পাড়া হাই স্কুল)।বাপি রায় (রাজগঞ্জ পলিটেকনিক কলেজ), শুভজিৎ ভৌমিক, বাপি রায় (দ্বিতীয়), দীপেন দাস তিনজনই বেলাকোবা বয়েজ হাই স্কুলের ছাত্র।
জলপাইগুড়ির বাইরের জেলার মধ্যে দলে জায়গা পেয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের রোহিত দাস, হুগলির সৌম্য রায় এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের সরবোনি ওরাও।
অভাবের মধ্যেও প্রতিযোগিতায় সাফল্যের স্বপ্ন
নির্বাচিত খেলোয়াড়দের বেশিরভাগই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবার থেকে উঠে এসেছে। কারও বাবা কৃষিশ্রমিক, কারও রাজমিস্ত্রি, কারও বা সেলুন বা কেক ফ্যাক্টরির কর্মী। তবু বাধা পেরিয়ে প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি চালিয়ে এসেছে তারা।
বেলাকোবা হাই স্কুল মাঠে গত এক বছরেরও কম সময় ধরে প্রতিদিন সকাল বিকাল মিলিয়ে চার ঘণ্টা প্রশিক্ষণ করিয়েছেন কোচ শুভ দাস।
খেলোয়াড়দের কথায়, অভাব ছিল, কিন্তু ইচ্ছে ছিল বড়। কোচের সাহায্যে আর পরিবারের উৎসাহেই আজ আমরা জাতীয় মঞ্চে নামতে পারছি।
অন্যদিকে বিষয় জলপাইগুড়ি ডিস্ট্রিক্ট টেনি কোয়েট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি শুভ দাস বলেন,জলপাইগুড়ি জেলার জন্য এটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ৯ জন খেলোয়াড়ের জাতীয় স্তরে জায়গা পাওয়া সত্যিই গর্বের। সরকারি অনুদান পেলে এরা আরও ভালো করতে পারবে।