এসআইআর ফর্মে অঙ্গীকারপত্রের লাইন কাটা ঘিরে রাজগঞ্জে তীব্র উত্তেজনা


রাজগঞ্জ: এসআইআর এনুমারেশন ফর্ম জমা নিয়ে ফের উত্তেজনা রাজগঞ্জে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ফর্ম গ্রহণের সময় ব্লক লেভেল অফিসার (বিএলও) অঙ্গীকারপত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ লাইন কেটে দিচ্ছেন। রবিবার হাটুরবাড়ি ১৮/৬৩ নম্বর বুথ এলাকায় বিষয়টি সামনে আসতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
অভিযোগকারীদের দাবি, অঙ্গীকারপত্রে উল্লেখ রয়েছে— “সর্বশেষ এসআইআর নির্বাচক তালিকা থেকে আমি উপরোক্ত বিবরণ যাচাই করে দেখেছি”— নিয়ম অনুযায়ী এই লাইন কাটার প্রশ্নই নেই। তাঁদের আশঙ্কা, ওই অংশে কাটাকাটি হলে ভবিষ্যতে ভোটাধিকার যাচাই ও সরকারি নথিপত্র সংশোধনের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বিকি রায়। তাঁর অভিযোগ, “বিএলও-র স্বামী সহযোগিতা করছেন ফর্ম গ্রহণে, এমনকি রিসিভও দেওয়া হচ্ছে। এটি স্পষ্ট অনিয়ম।”
যদিও বিএলও সতী রায় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, জয়েন্ট বিডিও-র নির্দেশে অঙ্গীকারপত্রের ওই লাইনটি কেটে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “মেয়ের অসুস্থতার কারণে বাইরে থাকায় আমার স্বামী সাহায্য করেছেন। তবে রিসিভে সই আমিই করেছি।” অভিযোগকে তিনি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নিতাই মণ্ডল বলেন, “ইলেকশন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী বিএলএ–২ সর্বোচ্চ পঞ্চাশটি ফর্ম সংগ্রহ করে জমা দিতে পারেন। এর মধ্যে কোনও অনিয়ম নেই। তৃণমূল ইচ্ছাকৃতভাবে প্রশাসনিক কাজে বাধা দিতে চাইছে।”
এ বিষয়ে রাজগঞ্জের জয়েন্ট বিডিও সৌরভকান্তি মণ্ডল জানান, বিএলএ–২ ফর্ম জমা দিতে পারেন, তবে রিসিভে সই করতে হবে বিএলও–কেই। সিল না থাকলেও রিসিভ বৈধ। কেন অঙ্গীকারপত্রের লাইন কাটা হচ্ছে, তার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “ফর্ম জমার সময় কোনও নথি যাচাই করা হয়নি। সময় স্বল্পতার কারণে নির্দিষ্ট নির্দেশ মেনে ওই লাইনটি কেটে দেওয়া হয়েছে।”

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন