স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে বিতর্কিত বিডিও—আদালতে আগাম জামিন


উওর বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:দত্তাবাদের স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনকাণ্ডে নাম জড়ানো রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনকে শর্তসাপেক্ষ আগাম জামিন দিল বারাসত জেলা আদালত। ফলে সাময়িক স্বস্তিতে ‘বিতর্কিত’ এই আধিকারিক। তবে পরিজনদের ক্ষোভ কমেনি। তাঁদের দাবি, অপহরণ করে পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিলাকে। সেই অভিযুক্তদের তালিকায় প্রথম সারিতেই রয়েছেন বিডিও প্রশান্ত।

স্বপন কামিলা আদতে পশ্চিম মেদিনীপুরের নীলদা পোস্ট অফিস এলাকার দিলামাটিয়ার বাসিন্দা। দত্তাবাদে দীর্ঘদিন ধরে সোনার গয়নার দোকান চালাতেন তিনি। অভিযোগ, গত ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় দোকান থেকে একটি নীলবাতি লাগানো গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরিজনরা বিধাননগর দক্ষিণ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তার পরদিন নিউটাউনের যাত্রাগাছির বাগজোলা খালপাড়ের ঝোপঝাড় থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। ছবি দেখে শনাক্ত করেন পরিবার।

পরিবারের দাবি, অপহরণ ও খুনে মূল ভূমিকা বিডিওর। অভিযোগ, কিছুদিন আগে বিডিও প্রশান্ত বর্মনের বাড়ি থেকে বেশ কিছু গয়না চুরি যায়। সেই গয়না নাকি স্বপনবাবুর দোকানে বিক্রি করা হয়েছে—এই অভিযোগেই প্রথমবার দোকানে আসেন বিডিও। পরিজনের দাবি, সেই সংঘাতের জেরেই ২৮ অক্টোবর আবারও নীলবাতি গাড়ি নিয়ে দোকানের সামনে যান প্রশান্ত। গাড়ি থেকে নামতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে বলে দাবি পরিবারের। সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন। তাঁদের মাধ্যমেই স্বপনবাবুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

ঘটনার পর থেকেই অন্তরালে চলে যান বিডিও। শুক্রবার হঠাৎই প্রকাশ্যে এসে তিনি সমস্ত অভিযোগ নসাৎ করেন। তাঁর দাবি, স্বপনবাবুর সঙ্গে কোনও বিরোধ বা লেনদেনের জটিলতা ছিল না। তবে অভিযুক্ত বিডিওর দুই ‘ঘনিষ্ঠ’-কে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এদিকে নিহতের পরিবারের সদস্যরা বিডিওর গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব। তাঁদের অভিযোগ, “যতক্ষণ না মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, ততক্ষণ তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।” আদালতের জামিন সত্ত্বেও পরিস্থিতি তাই আরও জটিল হয়েছে বলেই মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন