অন্যের পরিচয় ব্যবহার করে ইনিউমারেশন ফর্ম পূরণ ,বিতর্ক রাজগঞ্জে


রাজগঞ্জ:ভোটার পরিচয়পত্র ও এসআইআর ফরম ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে। মৃত অনিল বর্মনের ছেলে পরিচয় দিয়ে গোলাপ বর্মন (ওরফে গোলক বর্মন) নামের এক ব্যক্তি এসআইআর ফর্ম জমা দিতেই বিষয়টি সামনে আসে। অভিযোগ যে পরিবারের সঙ্গে তাঁর কোনো রক্তসম্পর্ক নেই, সেই পরিবারের নাম ব্যবহার করেই নিজের ভোটার পরিচয় তৈরি করেছেন তিনি।
অনিল বর্মনের স্ত্রী প্রমিলা বর্মন ও ছেলে উত্তম বর্মন জানান, তাঁদের তিন কন্যা ও একমাত্র পুত্রসন্তান রয়েছে। গোলাপ বর্মন নামে কোনো সন্তানের অস্তিত্ব নেই। কীভাবে ওই ব্যক্তি তাঁদের পরিবারের নাম ব্যবহার করে ভোটার কার্ড বানালেন, তা খতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে অভিযোগ জানানো হবে বলেও জানান তাঁরা।প্রতিবেশী গণেশ দাসের বক্তব্য, অনিলবাবুর এক ছেলে উত্তম। গোলাপ বর্মন নামে কোনো ছেলে কখনও ছিল না। তবে স্থানীয়দের দাবি, গোলাপ বহু বছর ধরেই শ্বশুরবাড়িতে স্টেশন কলোনি এলাকায় থাকেন।



এদিকে গোলাপ বর্মনের স্ত্রী সান্তনা বর্মন জানান, ২০১০ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। তখনই বিভিন্ন নথিতে অনিল বর্মনের নাম বাবা হিসেবে দেখানো হয়। তাঁর দাবি, বিয়ের সময় পারিবারিক প্রয়োজনে শ্বশুরের নাম দেওয়া হয়েছিল। ভুল কিছু করিনি।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে গিয়ে গোলাপ নিজেই স্বীকার করেন তাঁর আসল নাম গোলক বর্মন, বাবার নাম মনমোহন বর্মন। তবে এখন নথিতে বাবার জায়গায় অনিল বর্মন লেখা আছে। এই নিয়েই প্রশ্নের ঝড়।

ঘটনাকে রাজনৈতিক রং দিয়ে রাজগঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এসআইআর প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য অবৈধ ভোটার চিহ্নিত করা। যদি কেউ মৃত ব্যক্তিকে বাবা দেখিয়ে ফর্ম জমা দিয়ে থাকে, কমিশনকে নিরপেক্ষ তদন্তের অনুরোধ করব। রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা নিতাই মন্ডল এর দাবি নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করুক।
১৮/এসি৭৬ বুথের বি.এল.ও রুমকি দত্ত পাল জানান, ফর্ম নেওয়ার সময় কোনো অসঙ্গতি চোখে পড়েনি। অনিল বর্মন পরিবারের অভিযোগ থাকলে বিষয়টি কমিশন যাচাই করবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন