চন্দ্রকোনা রোড ডাকাতি: স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন দাস গ্রেফতার, পুলিশি তদন্তে নতুন মোড়
পশ্চিম মেদিনীপুর: চন্দ্রকোনা রোড ডাকাতির ঘটনায় নতুন মোড় এসেছে পুলিশি তদন্তে। প্রথমে শুধুমাত্র স্কুটি চুরির সঙ্গে সম্পর্কিত সন্দেহে তদন্ত শুরু হলেও, পুলিশ জানতে পেরেছে যে ওই গ্যাং হেরোইন ড্রাগস (স্থানীয়ভাবে ‘পাতার নেশা’ নামে পরিচিত) এবং এলাকায় বিভিন্ন চুরি-ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুকদেব বিশ্বাসকে জেরা করা হলে তিনি স্বীকার করেছেন যে, স্থানীয় চুরির স্বর্ণ তিনি স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন দাসকে বিক্রি করেছেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে স্বপন দাসকেও আটক করা হয়েছে। আজ তাদের গড়বেতা আদালতে তোলা হলে পুলিশি রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, আরও কেউ কি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে।
স্থানীয়রা পুলিশি পদক্ষেপকে প্রশংসা করেছেন। সাধারণত পুলিশ বাহিনীর ভালো কাজের দিকগুলো চোখে পড়ে না, তবে এই ধরনের সাফল্য জনবিশ্বাসকে দৃঢ় করে। একাধিক স্থানীয় জানিয়েছেন, একজন ভালো পুলিশ কর্মকর্তা শুধু আইন প্রয়োগকারী নয়, তিনি মানুষের বন্ধু এবং বিপদে সাহায্যকারীও। চন্দ্রকোনা রোডের পুলিশ প্রশাসন কঠোর হাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
স্বপন দাসের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে পুলিশি তদন্ত ও প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা এগোচ্ছে। স্থানীয়দের চোখ এখন পুলিশি তদন্তে, তারা দেখছে স্বপন দাস এবং গ্যাংটির অন্য সদস্যরা কি সত্যিই আইনকে প্রাধান্য দিয়ে বিচার পাচ্ছেন কি না।