জাতীয় সংগীত হুইসেলে মাত্র ৩৯ সেকেন্ডে গেয়ে বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুললেন জলপাইগুড়ির পল্লব গোস্বামী।
জলপাইগুড়ি, পবিত্র রায় ,5ই ডিসেম্বর , : জাতীয় সংগীত হুইসেলে মাত্র ৩৯ সেকেন্ডে গেয়ে বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুললেন জলপাইগুড়ির পল্লব গোস্বামী। পল্লব গোস্বামী জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কলেজ এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি ইতিহাস অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করছেন। জলপাইগুড়ির স্বনামধন্য স্কুল ফনীন্দ্রদেব ইনস্টিটিউট থেকে মাধ্যমিক এবং জেলা স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন পল্লব গোস্বামী। ছোটবেলা থেকে গান বাজনার শখ ছিল তার। কিন্তু পড়াশোনার চাপে সেভাবে গান-বাজনায় মন দিতে পারেননি।
প্রায় দু'বছর ধরে কলেজ বন্ধ থাকার সময় বাড়িতে বসে বসে তিনি বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তোলার জন্য চেষ্টা করেছিলেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে ৩৯ সেকেন্ড জাতীয় সংগীত গেয়ে পাঠিয়েছিলেন। তারপর পল্লব বাবু কে জানানো হয় যে তিনি এই স্বল্প সময়ে হুইসেল এ জাতীয় সংগীত গেয়ে আন্তর্জাতিক রেকর্ড করেছেন। তার এই কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ একটি শংসাপত্র একটি মেমেন্টো এবং একটি মেডেল পাঠিয়েছে ওই সংস্থা। পল্লব বাবু জানান এছাড়াও ম্যাজিক বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এবং ইন্টার্নেশনাল বুক অফ রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
আগামী দিনে সংগীতে ও হুইসেলে তিনি জলপাইগুড়ির মুখ উজ্জ্বল করতে চান বলে জানান পল্লব বাবু। তিনি বলেন 5 মিনিটে পঁয়ত্রিশটি গান বাজিয়ে ইতিমধ্যেই রেকর্ড করে পাঠিয়েছেন তিনি। আশা করছেন আরেকটি রেকর্ড অর্জন করতে পারবেন। পল্লব বাবু বলেন বাবা-মার সহযোগিতায় ফলে তিনি আজকে এই রেকর্ডে নাম তুলতে পেরেছেন।
ছেলের রেকর্ডে দারুণ খুশি বাবা প্রণব গোস্বামী। প্রণব বাবু কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা ব্লকের পারোডুবি ফার্মের সহকারি ফার্ম ম্যানেজার। তিনি বলেন ছেলে পড়াশুনার ফাকে কখন এসব কাজ করত তিনি জানতেন না। সকালবেলায় অফিসের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসেন।
বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলে জলপাইগুড়ির মুখ উজ্জ্বল করায় দারুণ খুশি তিনি। প্রণব বাবু বলেন, ছেলে আগামী দিনে এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন। পল্লবের মা শর্মিলা গোস্বামী গৃহবধূ। ছেলের এই রেকর্ডে তিনিও দারুণ খুশি।