স্কুলে চাকরি দেওয়ার নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল এক স্কুল শিক্ষকের নামে
রাজগঞ্জ: চাকরি দেওয়ার নামে কোটি টাকারও বেশি হাতিয়েছেন এক স্কুল শিক্ষক। সোমবার এমন অভিযোগে ওই শিক্ষককে আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন প্রতারিত যুবক। অভিযোগকারীর নাম বাপ্পা মালাকার। বাড়ি মাথাভাঙ্গা এলাকায়। অভিযুক্তের নাম সন্তোষ বর্মন। তাঁর বাড়ি কোচবিহার জেলার শীতলকুচির পঞ্চানন হাটে। তিনি রাজগঞ্জের আমবাড়ি চিন্তামোহন হাইস্কুলের বাংলার শিক্ষক। আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে এক স্কুল শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতকে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হবে।
প্রতারিত যুবক বাপ্পা মালাকার বলেন, ‘ওই শিক্ষক আমাকে আপার প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তিন বছর আগে ১৭ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরির ব্যবস্থা করেননি। আমি পরবর্তীতে টেটে পাস করি। তারপরও চাকরি হয়নি। টাকা ফেরত চাইলে তিনি ফেরত দেবেন না বলে হুমকি দেন। এদিন পুনরায় টাকা ফেরত চাইতে ওই স্কুলে গেলে শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। রাস্তায় তাঁর সঙ্গে দেখা হয়। তখন টাকা চাইলে আমার এক প্রতিবেশীর হাত কামড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাঁকে ধরে পুলিশের তুলে দেওয়া হয়।’ বাপ্পার মতো কোচবিহার জেলার বাবলি বর্মন, অনুপ বর্মন, বৃন্দা বর্মন সহ আরও কয়েকজন প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত দাস বলেন, ‘ওই শিক্ষক ২০০৯ সাল থেকে এখানে চাকরি করছেন। স্কুলে চাকরি করার সূত্রে আগে পাশে কোথাও বাড়িভাড়া নিয়ে থাকলেও পরবর্তীতে শিলিগুড়ির আশিঘর এলাকায় বাড়ি তৈরি করে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে রয়েছেন। কয়েক মাস আগে কয়েকজন ওই শিক্ষকের খোঁজ নিতে এসেছিলেন। সেসময় তিনি স্কুলে ছিলেন না। তাঁরা কেন এসেছিলেন জানি না। তবে চাকরির নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ তুলে কেউ বা কারা ওই শিক্ষককে এদিন পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে শুনেছি। যদি অভিযোগ সঠিক হয় তাহলে শুধু স্কুলের বদনামই নয়, এটা চরম লজ্জার। তবে কেউ অপরাধ করে থাকলে তাঁর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।