জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বেলাকোবা গ্রামীণ হাসপাতালের বি এম ও এইচ ডাক্তার নিয়াজ আহমেদ জেলা সি এম ও এইচ এর কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠান।
বেলাকোবা, নিজস্ব প্রতিবেদন ,৩১ মে: আজ জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বেলাকোবা গ্রামীণ হাসপাতালের বি এম ও এইচ ডাক্তার নিয়াজ আহমেদ জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে একনায়কতান্ত্রিক এবং প্রতিহিংসা আচরণের অভিযোগ তুলে জেলা সি এম ও এইচ এর কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠান। তার অনুলিপি পাঠিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা শাসক, ডাইরেক্টর অফ হেলথ সার্ভিসেস কলকাতা ও স্বাস্থ্যভবনে।
২০১১ সালের অনুযায়ী সদর ব্লকের জনসংখ্যা ৩ লক্ষ ৫০ হাজার এখন প্রায় দেড় গুণ বেশি হবে। ৩০ বেডের অন্তঃবিভাগের এর মধ্যে ১৫ শয্যা বিশিষ্ট পুরুষ ও মহিলা। রয়েছে ৪৮টি সাব সেন্টার, ৯ জন জেনারেল মেডিকেল অফিসার একজন বিএম ও এইচ নিয়ে এই হাসপাতাল। এর মধ্যে ২ জন ডাক্তার কে অন্য ব্লকে এ পাঠানো হয়েছে। করোনা মহামারীতে বি এম ও এইচ এর অধীনে রয়েছে দুটি সেভ হাউস সেখানে একাধিক রোগীর চিকিৎসা চলছে। জেলার অন্যান্য ব্লকে ১৬ ই জানুয়ারি থেকে ভ্যাক্সিনেশন শুরু হলেও এই হাসপাতলে ২৯ শে জানুয়ারি থেকে শুরু হয়। কেন বিলম্বে শুরু হলো এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের বিরুদ্ধে । আজ ব্লক হাসপাতাল ৩০০ জনকে ভ্যাক্সিনেশন করা হয় ব্লকের অধীনে অন্যান্য এলাকা নিয়ে মোট ৮০০জন ভ্যাক্সিনেশন হয়েছে আজ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার ভ্যাক্সিনেশন হয়েছে ।এদের মধ্যে আজ আব্বাস আলী বিনয় মন্ডল বিশ্বনাথ বিশ্বাস বলেন, সরকারি নিয়মে তারা ফ্রিতে ভ্যাক্সিনেশন করেছেন এজন্য কাউকে কোন টাকা পয়সা দিতে হয়নি।
১৭ ই মে ভ্যাক্সিনেশন দেওয়া নিয়ে ব্লক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক খগেশ্বর রায় ঘটনার পরদিন তদন্ত করেন। এলাকাবাসীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর বি এম ও এইচ কে চেয়ারম্যান করে ৫ জনের একটি কমিটি করে ২৭ এ মে, বি এম ও এইচ তদন্তের রিপোর্ট পাঠান উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সি এম ও এইচ কে। তারপর থেকেই শুরু হয় সংঘাত। বি এম ও এইচ কে না জানিয়ে দুইজন সি এইচ ও স্টাফ ও একজন ডাটা অপারেটর কে হাসপাতাল থেকে অন্যত্র বদলি করা হয়।
এসম্পর্কে সি এম ও এইচ ডাক্তার রমেন্দ্রনাথ পরামানিক বলেন যে দুইজন সি এইচ ও কে বদলি করা হয়েছে তার মধ্যে একজন বি এম ও এইচ এর স্ত্রী, অনুমান করছেন এর কারণেই হয়তো রেজিগনেশন। এ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, পদ্ধতি হিসাবে রেজিগনেশন দিতে হয় তা হয়নি। সুতরাং রেজিগনেশন অনুমোদন করা হয়নি, তার সাথে আলোচনা করার জন্য একদিন নির্দিষ্ট করা হবে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডাক্তার নিয়াজ আহমেদ বলেন ,মেডিকেলের বিভাগে যে কোন স্টাফ অন্যত্র বদলি হতেই পারেন, তার স্ত্রীকে বদলি করা হয়েছে বলে তার এই রেজিগনেশন তা সত্য নয় সততার সাথে হাসপাতাল প্রশাসন তিনি চালাতে পারছেন না উর্দ্ধতন স্বাস্থ্য দপ্তরের একনায়কতন্ত্র ও প্রতি হিংসা আচরণের জন্যই তিনি রেজিগনেশন দিতে বাধ্য হয়েছেন।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি ও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র, দুলাল দেবনাথ জানান, করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীরা যাতে কোনো অসুবিধার সম্মুখিন না হয় সেই বিষয়টি নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সাথে বৈঠক করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।