ব্যাপক ভিড়ের কারণে চার দিন পাইকারি বাজার সহ হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।


বেলাকোবা, ১১ এপ্রিল:   লক ডাউন নিয়ম-কানুন ভঙ্গের বিষয়টি বারংবার  মিডিয়া তুলে ধরাতে  প্রশাসক সমাধানে এগিয়ে আসে। বেলাকোবা কৃষক বাজারে ব্যাপক ভিড় হয়। বজায় রাখা হয়না সামাজিক দূরত্ব। শনিবার একই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।  ছুটে আসেন জেলাশাসক অভিষেক তেওয়ারি,  জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন, রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, বিডিও এন সি শেরপা ও   রাজগঞ্জ থানার সিআই দ্বীপোজ্জল ভৌমিক, ওসি কেসাং লামা, সহ বেলাকোবা পুলিশ ফাঁড়ির ওসি সুব্রত সাহা  ।
বেলাকোবা কৃষক বাজারে বুধ ও শনিবার সকালে কাঁচা সবজির পাইকারি বাজার বসে। ওই পণ্য কেনাবেচার জন্য প্রায় ১০ হাজার মানুষের ভিড় লেগে যায়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পাইকারি বাজার প্রতিদিন বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
 রাজগঞ্জ বিধায়ক খগেশ্বর রায় জানায়  শিকারপুর হাট প্রত্যেক দিন সকাল 10 টা থেকে 4 টা পর্যন্ত চলবে ।  ফলে সাপ্তাহিক দুদিনে  যত পরিমাণ মানুষের সমাগম হয়  তার তুলনায় অনেক কম হবে।
 সবজি ব্যবসায়ী  সন্তোষ সরকার জানায়  প্রত্যেকদিন পাইকারি বাজার বসলে তাদের সবজি কিনতে অনেক সুবিধা হবে।  ফলে প্রত্যেক  কিছু পরিমাণ সবজির দামও কমবে বলে জানান।

"জলপাইগুড়ি জেলা সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ বলেন, এই শিকারপুর মার্কেট পূর্বে পুরানো শিকারপুর সন্ন্যাসী মন্দিরের পাশে ছিল, গত ১৯৮৬ সালে ২৭ একর জমির উপর সাধারণ মানুষের যোগাযোগের সুবিধার্থে বর্তমান জায়গাতে উঠে আসে জলপাইগুড়ি  জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় এই হাট্টি প্রায় ৩৫ বছর হয়ে গেল, বর্তমান সরকার বছর তিনেকের মত হাটের সংস্কার করে  কিষাণ মান্ডি সহ কৃষক বাজার তৈরি করে পরিকাঠামোর উন্নত করেছে । এখানে  ফালাকাটা,ময়নাগুড়ি, ধুপগুড়ি , আমবাড়ি , চটের হাট ,ফাঁসিদেওয়া ,ডালখোলা,  শিলিগুড়ি এবং পার্শ্ববর্তী বিহার রাজ্য থেকেও প্রচুর মানুষ সপ্তাহে দুদিন বুধবার এবং শনিবার হাটে আসে, হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় এই হাটে। লকডাউন এর পরিস্থিতি তে এত মানুষ একসাথে সমবেত হওয়া বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে এজন্য বিভিন্ন মহল থেকে আমাদের কাছে অভিযোগ আসতে থাকে ,  এ বিষয়ে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে  এসডিও,ডিএম, এসপি কে জানিয়েও কাজ হয়নি , বিধায়ক এর উদ্যোগে আজ আমরা পর্যবেক্ষণে এসেছি। কিষাণ মান্ডির পেছনে যে ৬ বিঘা জমি আছে তাকে পরিষ্কার করে হাট  সম্প্রসারণের চেষ্টা করা হচ্ছে। বটতলা মোড়ের দৈনিক বাজারকে  ইতিমধ্যেই কিষাণ মান্ডি র পাশে বসানো হয়েছে। 

বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, পর্যবেক্ষণের পর ডিএম এর নির্দেশে সকলে মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হলো, এখন থেকে আপাতত সপ্তাহে বুধ ,বৃহস্পতি ,শনি ,রবি এই চারদিন  খাবারের দোকান সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান গুলিএই  মার্কেটে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বসবে, তবে এটাকে সপ্তাহের ৭দিনই  বসানোর জন্য আমরা চেষ্টায় আছি।  আপাতত গরু হাটির দিকে হাট  কে সম্প্রসারণের চেষ্টা চলছে। 
  জলপাইগুড়ি জেলাশাসক অভিষেক তেওয়ারি জানান   সরোজমিনে  হাটে  উপস্থিত হয়ে জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে  আলোচনা করে  সেখানে রেগুলেটেড মার্কেট কমিটিকে  হাট খোলা রাখার ব্যাপারে সিডিউল  তৈরি করে  তাকে  জমা করার জন্য বলা হয় ।

বেলাকোবা পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ  মাইকিং করে জানিয়ে দেন  আপাতত  বুধ বৃহস্পতি শনি রবিবার এই চার দিন  হাট বসবে ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন