গঙ্গারামপুরে চাকরি প্রতারণায় গ্রেপ্তার, বাড়ি থেকে উদ্ধার ২০ লক্ষ টাকা


দক্ষিণ দিনাজপুর :চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের যাদববাটি কারগিল মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হলেন সুভাষ বিশ্বাস (৪০)। ধৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ, একটি ল্যাপটপ, তিনটি মোবাইল ফোন ও গুরুত্বপূর্ণ নথি।
আগামী রবিবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কনস্টেবল পদের পরীক্ষা থাকায় এই ঘটনার পর রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিরোধী দল বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম তৃণমূলকে কটাক্ষ করলে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
দুই দিন আগেই ধরা পড়েছিল সিভিক ভলেন্টিয়ার দম্পতি।



পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৫ নভেম্বর চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে সিভিক ভলেন্টিয়ার নারায়ণ ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী পার্বতী রায়কে। অভিযোগ ছিল—টাকার বিনিময়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কনস্টেবল পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হতো।


তদন্তের সময় উঠে আসে তৃতীয় ব্যক্তি সুভাষ বিশ্বাসের নাম। বৃহস্পতিবার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানিয়েছে
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, “মঙ্গলবার আমরা একটি কেসে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছিলাম। কনস্টেবল পরীক্ষার ক্ষেত্রে তারা বেশ কয়েকজন প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে আজ সুভাষ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ, ল্যাপটপ, মোবাইল ও নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এগুলির পরীক্ষার সঙ্গে সরাসরি যোগ আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
রাজনৈতিক চাপানউতোর
বিরোধী দলগুলো ঘটনা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে। বিজেপি জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, “তৃণমূল চাকরি বিক্রি করেই খায়। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তৃণমূল তেমন দুর্নীতি ছাড়া থাকতে পারে না।”
জেলা কংগ্রেস নেতা নন্দন দাস বলেন, “তৃণমূল দুর্নীতি ছাড়া কোনো নিয়োগেই থাকতে পারে না। তাই এমন ঘটনা একের পর এক ঘটছে।”
সিপিএম জেলা সম্পাদক নন্দলাল হাজরা বলেন, “তৃণমূল দলেরই দুর্নীতিতে যুক্ত। বেকারদের জীবন নিয়ে ছিনিবিলি খেলছে তারা। যোগ্য সময় মানুষ তাদের জবাব দেবে।”
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, “বিরোধীরা কীভাবে ধরে নিয়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া সিভিক ভলেন্টিয়ার তৃণমূলের নেতা? অপরাধীর কোনও দল হয় না। অভিযোগ আসলেই পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে—এটাই প্রমাণ করে পশ্চিমবঙ্গের আইন নিজের গতিতে চলে।”

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন