দিনমজুর পরিবারের দুই পড়ুয়ার, দেখা করে সম্বর্ধনা দিলেন তৃণমূল নেতা বুলবুল
নুর আইন,মালদা: গ্রামে নেই রাস্তাঘাট। এখনো পর্যন্ত বাসের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে মানুষজন। আর সেই প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে নিটে উত্তীর্ণ দুই ছাত্র। সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে স্বপ্ন পূরণ। হাসি পরিবারের মুখে। গর্বিত এলাকাবাসী। তাদের সঙ্গে দেখা করে সম্বর্ধনা জানালেন তৃণমূল নেতা বুলবুল খান। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত, দুই প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ডাক্তারি পরীক্ষার সর্বভারতীয় এন্ট্রান্স নিটে উত্তীর্ণ হয়েছে দুই পড়ুয়া। দিনমজুর পরিবারের রাকিবুল হক পশ্চিম সাদলিচকের সূর্যপুরা গ্রাম থেকে এবং তাঞ্জির হোসেন কুমেদপুর গ্রাম থেকে। রাকিবুলের প্রাপ্ত নম্বর ৫৯০ এবং তানজিরের প্রাপ্ত নম্বর ৫৮৭। তাদের এই সাফল্যে খুশি পরিবারের লোক থেকে এলাকাবাসী। আর তাদের এই সাফল্যের খবর শুনতে পেয়েই এদিন তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান। দুই পড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করে তাদের সম্বর্ধনা জানান এবং অনুপ্রাণিত করেন ভবিষ্যতের জন্য। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এই লক্ষ্য পূরণ মোটেও সহজ ছিল না। গ্রামে নেই রাস্তাঘাট বাসের সাঁকো পেরিয়ে যেতে হয়। সাথে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা দারিদ্র্য। কিন্তু তারপরও সাফল্য এনে দিয়েছে তাদের হার না মানা জেদ। আর স্বাভাবিক ভাবে এই সাফল্যে খুশি পরিবারের লোক থেকে গ্রামবাসীরা। দুই পড়ুয়াই জানান তারা ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে গ্রামের লোকের সেবা করতে চান।
জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেন, আজ সাদলিচক অঞ্চলে এসেছিলাম। দুই ছাত্র নিট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে তাদের এই সাফল্য সকলকে গর্বিত করেছে। আমি তাদের সঙ্গে দেখা করলাম।
নিট ছাত্র রাকিবুল হক বলেন, আশা করছি একটা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস করতে পারবো। যেটা আশা ছিল সেটা পূরণ করব। এই প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে স্বপ্নপূরণ করতে পেরেছি ভালো লাগছে।
নিট ছাত্র তাঞ্জির হোসেন বলেন,এই বছর আমি ৫৮৭ নম্বর পেয়ে মনিটে উত্তীর্ণ হয়েছি। আমার স্বপ্ন ভালো ডাক্তার হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।
কথায় আছে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এই দুই পড়ুয়ার সাফল্য সেই কথাই প্রমাণ করে দিল। তাদের এই সাফল্য প্রত্যন্ত গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের আরো উৎসাহিত করবে বলে মনে করছে এলাকাবাসী।