মাহাতো সম্প্রদায়ের থেকে মন্ত্রী হয়েও এখনো পিছিয়ে জঙ্গলমহলের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা!


পশ্চিম মেদিনীপুর,শালবনী শান্তনু পান : জঙ্গলমহলে বাস আদিবাসী সম্প্রদায় সহ বেশ কয়েকটি উপজাতির! আর সেই মাহাতো সম্প্রদায় থেকে পরপর দু'বারের বিধায়ক এবং বর্তমান মন্ত্রী হয়েও পিছিয়ে রয়েছে নিজের বিধানসভা এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকা।




পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী বিধানসভার অন্তর্গত সোনার বেড়(ঘুঘুডাঙা) এলাকায় বাস আদিবাসী সম্প্রদায়ের ৫০ টি পরিবারের। কিন্তু তেমন ভাবে উন্নয়ন হয়নি এলাকায় অভিযোগ সাধারণ মানুষের।



বছরের এক বৃদ্ধা খুন জানান সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা তিনি এখনও পাননি। তার অভিযোগ বারবার এলাকার নেতৃত্ব তারিখে জানিয়েও কোনো সুরাহা মিলেনি। মেলেনি লক্ষীর ভান্ডার এর টাকাও।

লক্ষী মুর্মু নামে আরও এক মহিলা জানান ভোট আসলে আছেন এলাকার বিধায়ক। ফুলমালা দিয়ে স্বাগত জানাই আমরা। কিন্তু ভোট ফুরিয়ে গেলে আর দেখা পাওয়া যায় না। কথা দিয়েছিল রাস্তাঘাট থেকে পানীয় জল সবকিছুই এবার ঠিক করে দেবেন।




কিন্তু জিতে মন্ত্রী হয়ে কাজ করা তো দূরের কথা আসেনি না গ্রামে কোনদিনই। নেই ভালো রাস্তাঘাট, সজল ধারার জলের কল থাকলেও সেই কল দিয়ে জল বেরোই না। নিজেদেরকে গ্রামের চাঁদা করে জলের কল বসে খেতে হচ্ছে তাদের।




শুধু তাই নয় অনেকে আবার ১০০ দিনের কাজে ও নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন লক্ষী মুর্মুরা। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের এই কাজ না নেওয়াতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে তাদের।




অপরদিকে পূর্ণচন্দ্র বেশ্রা মেয়ে গ্রামের অধিবাসী জানান কিছু কাজ হয়েছে, এখনো কিছু বাকি থাকে গেছে। মন্ত্রী হয় এলাকায় সময় কিছুটা কমেছে বিধায়কের। বিধায়ক থাকাকালীন মাঝেমধ্যে আসলেও এখন তিনি আর কতটা সময় পান না এমনটাই জানিয়েছেন পূর্ণচন্দ্র বেসরা।




সবে মিলি কোথাও কাজ হয়েছে তো কোথাও হয়নি। এমনই অভিযোগ করলেন গ্রামের সাধারণ মানুষেরা। তাদের দাবি এলাকার লালমাটি রাস্তাটুকু আর একটু পানীয় জলের সুরাহা হলে ভালোভাবে দিন কাটাতে পারবেন সাধারণ মানুষ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন