২২ মার্চ রবিবার জনতা কারফিউ পালনের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
COVID 19 নিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । রবিবার সকাল 7 টা থেকে রাত 9 টা পর্যন্ত জনতা কারফিউ পালন করার আবেদন জানালেন তিনি । জরুরি কাজ ছাড়া না বেরনোর পরামর্শও দিলেন । পাশাপাশি এই পরিস্থিতিতে যারা কাজ করছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ওই দিন বিকেলে 5 মিনিটের জন্য তালি, থালা বা ঘণ্টা বাজাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী ।এখনও পর্যন্ত ভারতে কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দেড়শোরও বেশি । মৃত্যু হয়েছে 3 জনের । এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে মানুষকে সজাগ করতে সচেতনতামূলক প্রচার করার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । তা নিয়েই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী । বলেন, "সকল ভারতবাসীর সজাগ থাকা খুবই জরুরি । কোরোনাকে হালকাভাবে নেবেন না । দেশ একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে । প্রত্যেক ভারতবাসীকে সতর্ক ও সজাগ থাকা উচিত । কোরোনার থেকে বাঁচতে এখনও বিজ্ঞান কিছু আবিষ্কার করতে পারেনি । বিশ্বে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা খুব তাড়াতাড়ি বেড়েছে । বিশ্বযুদ্ধের থেকেও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি । সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন । বাড়ির বাইরে বেরনো বন্ধ করুন ।"কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্ক হওয়ার দরকার নেই । খাদ্য সমস্যা হবে না । আজকের ভাষণে দেশবাসীকে এই আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রী বলেন, "COVID 19 ইকোনমিক টাস্ক ফোর্স গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার । যারা আপনাদের সেবায় কাজ করছেন তাঁদের আর্থিক দিকটি দেখবেন । হতে পারে এদের মধ্যে কেউ কাজে এলেন না, তাদের বেতন কাটবেন না, মানবিকতার সঙ্গে বিষয়টি দেখুন । আমি জানি এই পরিস্থিতে আশঙ্কা, আতঙ্ক ছড়ানো বা যা চাইছি তাই পাব এমন নয় । কিন্তু এখন তো এক দেশও আরও এক দেশকে সাহায্য করতে পারছে না ফলে এই সময়ে দেশের মধ্যেই দেশের সকলকে লড়তে হবে । 60-65 বছরের বড় মানুষদের বাড়ি থেকে না বের হতে অনুরোধ করছি ।"সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে রবিবার জনতা কারফিউ পালনের ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদি । নিজের ছোটোবেলার স্মৃতিচারণা করতে করতে সে সময়ের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির কথা বলতে বলতে তিনি রবিবার কারফিউয়ের কথা ঘোষণা করেন । বলেন, "আপনারা যদি এমনি রাস্তায় ঘুরে বেড়ান, বাজারে ঘুরে বেড়ান তাহলে কোরোনা থেকে রেহাই পাবেন কী করে? যুদ্ধের সময় আমাদের ঘর থেকে বেরতে দেওয়া হত না । ব্ল্যাক আউট হয়ে যেত । আমি প্রত্যেক দেশবাসীর কাছে একটা বিষয়ে সমর্থন চাইছি, জনতার কারফিউ হোক । যারা ইমারজেন্সি সেবায় জড়িত তাদের কথা আলাদা । কিন্তু বাকিরা কেউ বেরবেন না ও জনতা কারফিউ সফল হতে সাহায্য করুন । সকল রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন, জনতা কারফিউ সফলে সাহায্য করুন ।"এই ভাষণে কোরোনা নিয়ে একাধিক পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি, সচেতন ও সুরক্ষিত থাকার পরামর্শও দেন তিনি । সরকার কীভাবে প্রস্তুত ও কী কী বিষয়ে পদক্ষেপ করেছে সেই বিষয়ে জানান । সবশেষে বলেন, দেশের সকলে এই মহামারী রুখতে লড়ছে । আমি চাই এই যুদ্ধে মানবজাতি জিতুক । সামনেই নবরাত্রি। আমি চাই এমন সময়ে এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হোক সকলে